প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে এই তিন ট্রামে পুলিশের জনবল বাড়িয়েছেন প্রায় ৮২ হাজার । পুলিশের যখন যেটা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী সেটাই দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণের পর পুলিশকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল । সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ সব বলেন।
তিনি বলেন, এখন ‘৯৯৯’-এ কল করলেই নানারকম সেবা পাচ্ছে মানুষ। যার যে রকম সেবা দরকার সেই সেবা মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, পুলিশের সঙ্গে বিজিবিকেও শক্তিশালী করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সেই চ্যালেঞ্জে আমরা নিয়েছি। জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা মাদককে নির্মূল না করলেও কন্ট্রোলে নিয়ে আসতে পারব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের কারগারগুলোতে আসামি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৪৬ হাজারের বেশি। কিন্তু এ পর্যন্ত ৮৮ হাজারের বেশি কারাবন্দি কারাগারে রয়েছে। সরকার কারাগার নির্মাণই করছে না। কারাবন্দিদের বিভিন্ন ট্রেড প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যেন এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তারা আর অপরাধে না জড়ান সে জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদলে দেয়ার কথা বলেছিলেন। আজকে সেই দেশ কোথা থেকে কোথায় এসেছে। এটা এমনি এমনি হয়নি এর জন্য দরকার দক্ষ সাহসী নেতৃত্ব, একটা প্রাগ্য নেতৃত্ব সৎ নেতৃত্ব। যেটা আছে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সালে টানা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়েছিল। সেই সময় কে কাকে কখন হত্যা করা হচ্ছিল, হত্যার একটা হলিখেলা শুরু হয়েছিল। সেই জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় আজকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন করতে পেরেছি। দেশের মানুষকে একত্রিত করে জঙ্গি দমনে সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর ই-পাসপোর্ট সংযোজন করেছি। পাসপোর্ট নিয়ে আর কারও কখনও বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।
মন্ত্রী বলেন, কারাগারগুলোতে আধুনিক করার জন্য কাজ করছি। কারাগারগুলোতে প্রায় ৪৬ হাজারের মতো ধারণ ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু আমাদের কারাগারে বন্দি আজ পর্যন্ত ৮৮ হাজারের অধিক কারাবন্দি রয়েছে। এই বিশাল চাপ রয়েছে কারা অধিদফতরের ওপর। শুধু নতুন কারাগার তৈরি করছি না। যারা কারাগারে আসছেন তারা যেন এখান থেকে বের হয়ে অপরাধে না জড়ান সে জন্য তাদের নানাভাবে প্রশিক্ষত করে দক্ষ করে তুলছি। সাইবার ক্রাইম বন্ধে এনটিএমসি গঠন করেছি। যে কারণে আমরা অপরাধীদের লোকেশন বের করতে পারছি।